Dui Prithibi Movie 2024) Jeet, Dev, Koel Mallick

ভারতীয় বাংলা খুবই জনপ্রিয় একটি মুভি ফাইটার । এই মুভিটি যদিও অনেক আগেই রিলিজ হয়েছে কিন্তু বর্তমানে কোন ওয়েবসাইট বা ইউটিউবে এই মুভিটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । (Dui Prithibi Movie 2024) Jeet, Dev, Koel Mallick, Barkha Bisht Sengupta

রাজ চক্রবর্তী দ্বারা পরিচালিত "দুই পৃথিবী" ২০১০ সালের একটি বাংলা চলচ্চিত্র।এটি স্বর্ণনান্দ-আলারি নরেশ অভিনীত ২০০৮ সালের তেলেগু চলচ্চিত্র গামিয়ামের পুননির্মান।

দুই পৃথিবী ফুল মুভি কাহিনী সংক্ষেপ

ধনী অরূপ রায়ের (বি.ডি. মুখোপাধ্যায়) একমাত্র ছেলে রাহুল রায় (জিৎ)। যে কিনা বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত এবং তার কাছে জীবন মানে একটি খেলামাত্র। রাহুল রায় একজন ভাগ্যবান ব্যাক্তি এবং মেয়েদের কাছে খুবি জনপ্রিয় ছিলেন। একদিন নন্দিনী (কোয়েল মল্লিক) নামের একটি মেয়ের সাথে রাহুলের পরিচয় হয় (নন্দিনী একজন ডাক্তার)। রাহুল নন্দিনীকে তার প্রেমে ফেলায় বাজি ধরেন তার বন্ধুদের সাথে। এক নাচের অনুষ্ঠানের পর রাহুল নন্দিনীকে কফি খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।

নন্দিনী অনাথ ছিলেন যে কারণে সে দরিদ্র মানুষের প্রতি অত্যন্ত দয়াময় ছিলেন এবং রোগীদের সাথে খুব ভাল ব্যবহার করতেন। দরিদ্র মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় তাদের পাশে থাকতেন। অন্যদিকে রাহুল ধনী হওয়ায় দরিদ্রদের ঘৃণা করতেন। কিন্তু নন্দিনীর দরিদ্রদের প্রতি ভালো ব্যবহার তাক দয়াময় করে তোলে। ফলে তাদের মধ্যে ভাল বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। একই সময়ে নন্দিনী রাহুলের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলে, কারণ সে বুজতে পেরেছিল বান্ধুদের সাথে চ্যালেঞ্জ জেতার জন্য তার সাথে এমনটা করছে।

এক পার্টি শেষে নন্দিনীকে হোস্টেলে দিয়ে আসার সময় রাহুল তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে সে তাকে সত্যি সত্যিই ভালবাসে (কিন্তু নন্দিনী তার কথা বিশ্বাস করে না), সেই সময় রাহুল দুর্ঘটনার শিকার হন। দুর্ঘটনায় এক নারী মারা যায় ফলে তার শিশু সন্তান অনাথ হয়ে যায়। নন্দিনী রাহুলকে কিছু না বলে তার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যায় এবং তাকে খুঁজতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয় রাহুল।

সেই সময় রাহুল মোটরসাইকেল চোর শিবুর (দেব) সাথে পরিচিত হন। রাহুলের মোটরসাইকেল চুরি করার উদ্দেশ্যে শিবু রাহুলের সাথী হয়ে পড়ে। নন্দিনীকে খুঁজতে খুঁজতে রাহুলের মনের পরিবর্তন ঘটতে থাকে এবং জীবনের আসল বাস্তবতা বুঝতে শিখে। একদিন শিবু বাইক দুর্ঘটনায় সামান্য আহত হয় এবং রাহুল তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য হসপিটালে নিয়ে যায়। সেই হসপিটালে নন্দিনী শিবুর চিকিৎসা করে কিন্তু শিবু নন্দিনীকে চিনত না যে কারণে রাহুল জানতে পারেনা যে নন্দিনী এই এলাকাতেই আছেন এই সময়ের মধ্যে শিবু স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সাথে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন এবং শিবুর আকস্মিক মৃত্যু ঘট। ফলে রাহুল একজন দায়িত্বশীল নাগরিকে পরিনত হয়। রাহুল শেষ পর্যন্ত নন্দিনীকে খুঁজে পায় সাথে জীবনের মানেও।

তো আমি আপনাকে দেখাবো কিভাবে আপনি সহজেই এই মুভিটা দেখতে বা .ডাউনলোড. করতে পারেন ।